Thursday, September 5, 2019

পরীক্ষার দিনে ও রেজাল্টের পর করণীয় ও সতর্কতা!


বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে বেশকিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার বিশেষ করে পরীক্ষার আগের রাত ও পরীক্ষার দিনে। কারণ এই সময়ের একটু ছোট্ট ভুলই তোমার স্বপ্নের পথে তোমার পা ফসকে দিতে পারে। তাই এ সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সেরূপ কিছু বিষয়ই এই লেখায় তুলে ধরা হলো:—

১. পরীক্ষার আগের রাতে ও পরীক্ষার দিন সকালে স্বাভাবিক খাবার খাবে। যেসব খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে সেসব খাবার সেইসময়ে খাবে না। যেমন— পোলাও-গরুর মাংস খেলে কারও কারও সমস্যা হয়। কারও তেলেভাজা খাবার খেলে সমস্যা হয়। তাই অ্যালার্জি, আমাশয় ইত্যাদি এই জাতীয় খাদ্যঘটিত সমস্যা থাকলে সেই সময়ে কেউ সেসব লোভনীয় খাবার খাওয়ানোর অফার করলেও খাবে না।

২. পরীক্ষার সিট কোথায় পড়েছে তা নিজ দায়িত্বে জেনে নেওয়াই ভালো। যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোনে মেসেজ দিয়ে জানিয়ে না দেয় তাহলে নিজ দায়িত্বে SMS সিস্টেমে কিংবা অনলাইন থেকে জেনে নেবে। ফেসবুকে "রোল নং কমেন্ট করো, সিট কোথায় জানিয়ে দিচ্ছি কিংবা" কিংবা "সিটপ্লান এর ফটোপোস্ট" এর উপর নির্ভর করবে না। কারণ এর আগে ঢাকা শহরে এক চাকরির পরীক্ষায় ফেসবুকে সিটপ্লান দেখে ভুল সেন্টারে গিয়ে অনেকে পরীক্ষা দিতে পারেনি। একটি চক্র এই প্রতারণা করেছিল।
একই বিষয় মনে রাখবে পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার ক্ষেত্রেও। "রোল কমেন্ট করো, রেজাল্ট দিচ্ছি"— এসব সেবা না নেওয়াই ভালো।

৩. পরীক্ষার আগের রাতে বা শেষ সময়ে এডমিট কার্ড প্রিন্ট করার ভাবনা থেকে দূরে থাকবে। অনেক সময় দেখা যায় যারা নিজেই ফোন দিয়ে আবেদন করে এবং এডমিট ডাউনলোড করে রেখে দেয়, অনেক সময় খেয়ালের ভুলে তা হারিয়ে যায়; শেষ সময়ে গিয়ে যখন দেখে তা ফোনে নাই তখন আবার সেই সময়ে ডাউনলোড করতে গিয়ে সার্ভার জ্যামের কারণে ভোগান্তিতে পড়ে এবং সেই ভোগান্তির প্রভাব অন্যান্য কাজের উপরেও পড়ে। তাই সময়মতো এডমিট কার্ড প্রিন্ট করে রাখবে।

৪. যারা কোথায় থাকবে ঠিক-ঠিকানা নাই, তারা অন্ততপক্ষে একটু ভালো জায়গায় বা ভালোভাবে থাকার চেষ্টা করো। প্রয়োজনে একটি ফ্লেক্সিবল মশারি সঙ্গে রেখো। মশার কামড় কিছুতেই খাওয়া যাবে না। কারণ এটা তোমার লাইফের একটা সেনসিটিভ টাইম।

৫. বিশেষ করে ঢাকা শহরে যত্রতত্র যেকোনো দোকানের পানি পান করা থেকে বিরত থাকবে। বাসা/ হলের বাইরে থাকাকালীন হাতের কাছে সহজলভ্য ভালো পানি না পেলে মিনারেল ওয়াটার কিনে খাও, নয়তো পিপাসা সহ্য করে হলেও কোনো নিরাপদ প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেখানে থেকে পানি পান করো। কারণ এই সময়ে পানিবাহিত কারণে টাইফয়েড/ জন্ডিস ইত্যাদি হলে তা লাইফের স্বপ্নের সিঁড়িটাই ভেঙ্গে দেবে।

৬. ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে কোনো রোমাঞ্চকর স্থান ভ্রমণের লোভে পড়ে সেরূপ স্থানে ঘোরাঘুরি করতে না যাওয়াই ভালো। যে কাজে গেছো সেই কাজ করো। পরে ভ্রমণের অনেক সময় পাবে। কারণ এই সময়ে কোনো দুর্ঘটনা তোমার জন্য দুঃস্বপ্ন ডেকে আনতে পারে।

ভালো থেকো, তোমাদের সুন্দর ও স্বপ্নময় জীবন কামনা করি।

Thanks | ধন্যবাদ

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

Wednesday, September 4, 2019

বুয়েটে পড়বো বলে: শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে করনীয়!

জেনে নাও বুয়েট ভর্তি প্রস্তুতি জন্য এই শেষ সময়ের করনীয় কী!→


('প্রথম আলো'র 'স্বপ্ন নিয়ে' হতে সংগৃহীত)

Note: ইমেজটি ডাউনলোড করে ওপেন করুন ও জুম করে পড়ুন; আর তাতে ভালো দেখা না গেলে ভিউ করার পর জুম করে দেখুন।

সত্যি হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন | 
University Admission Advice Bank Bangladesh

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সম্পর্কিত ১০টি প্রশ্নের উত্তর!

জেনে নাও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সম্পর্কিত ১০টি  গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের যেসব বিষয়ে তোমরা প্রায়ই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকো→


('প্রথম আলো'র 'স্বপ্ন নিয়ে' হতে সংগৃহীত)

Note: ইমেজটি ডাউনলোড করে ওপেন করুন ও জুম করে পড়ুন; আর তাতে ভালো দেখা না গেলে ভিউ করার পর জুম করে দেখুন।

সত্যি হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন | 
University Admission Advice Bank Bangladesh

শেষ সময়ের প্রস্তুতি: ঢাবি "খ" ইউনিট!


সায়েন্স এর ছাত্রদের উচ্চ স্বপ্ন পূরণের বহু বিকল্প পন্থা রয়েছে, যেমন— মেডিকেল সায়েন্স, বিভিন্ন প্রকার ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই, ইইই, সিভিল, মেকানিক্যাল, রোবটিক্স, মেরিন, এভিয়েশন, জেনেটিক্স.......), স্থাপত্যবিদ্যা, ফার্মেসি, কৃষি, ডিভিএম, ফলিত পদার্থ, ফলিত রসায়ন ইত্যাদি; কিন্তু মানবিক এর ছাত্রদের উচ্চ স্বপ্ন এইটাই— ঢাবি "খ" তে চাঞ্চ পাওয়া কিংবা টপ রেটেড সাবজেক্ট নিয়ে টপ ফোর পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটিতে পড়া।
আর সেজন্যই আমরা মানবিক এর শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়েছি স্পেশাল প্রকল্প "ঢাবি 'খ' ইউনিট ভর্তি প্রস্তুতি প্রকল্প" এবং সেই পদক্ষেপেরই অংশ হিসেবে এই লেখাটি লেখা হয়েছে।

এই আর্টিকেলটি পড়তে এখানে—ক্লিক—করো

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আগে ১০ ভুল!

দেখে নাও কোন দশটি ভুল ভর্তি পরীক্ষায় আগে আমাদের হয়ে থাকে ও এগুলো থেকে দূরে থাকো→


('প্রথম আলো'র 'স্বপ্ন নিয়ে' হতে সংগৃহীত)

Note: ইমেজটি ডাউনলোড করে ওপেন করুন ও জুম করে পড়ুন; আর তাতে ভালো দেখা না গেলে ভিউ করার পর জুম করে দেখুন।

সত্যি হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন | 
University Admission Advice Bank Bangladesh

ঢাবি "খ" ইউনিটে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ হয় না যেসব ভুলের কারণে!


এই আর্টিকেলটি পড়তে এখানে—ক্লিক—করুন

DU Kha Unit Admission Preparation Program (DUKUAPP)
"বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির প্রাইভেট ব্যাচ"
(বিএ/ বিএসএস)
A Project by
Md. Mahadi Hasan
Phone: 01746315639

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং সম্পর্কিত ভুল ধারণাসমূহ ও বাস্তবতা!


আমাদের অধিকাংশের ধারণা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য যা যা লাগে সব দেবে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ব্যক্তিগতভাবে তোমার যা যা জানা ও শেখা দরকার তা কোচিং তোমাকে দেবে না, বরং তাদের ব্যবসা করার জন্য যা যা করা দরকার তা তারা করবে। এর উপরে আবার আছে কিছু সাদুরূপধারী অসৎ কোচিং যারা তাদের ব্যবসায় জন্য ধোঁকানীতি প্রয়োগ করে থাকে। এই লেখায় সেসবই বিস্তারিত বলবো।

প্রথমেই বলি কোচিংয়ে আসলে কী হয় সেই বিষয়ে। অধিকাংশ কোচিংয়ে প্রতি ঘণ্টায় একটা করে ব্যাচ পড়ানো হয়। আর এক ব্যাচের উঠে চলে যাওয়া ও অন্য ব্যাচের সিটে বসা এই কাজে ব্যয় হয় ৫ মিনিট। আর বসার পর পূর্ববর্তী শিটের উপর ২৫টি এমসিকিউ এর একটি মডেল টেস্ট নেওয়া হয় তাতে সময় দেওয়া হয় ১৫ মিনিট। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয় এবং সেই টেস্টে কে কত মার্ক পেলো তা আবার নাম ধরে ধরে কল করে এন্ট্রি করা হয়, এতে সময় যায় ১০ মিনিট। তাহলে টিচার পড়ানোর জন্য সময় পায় ৩০ মিনিট। এখন কথা হলো এই ৩০ মিনিট টিচার কী পড়ায়? আসলে এই ৩০ মিনিটে টিচার একটা হালকাপাতলা আলোচনা করে চলে যায় যা বুঝলে ভালো, না বুঝলে হাম্বা। নিজে কোনো একটা বিষয় না বুঝলে তা প্রশ্ন করে জেনে নেওয়ার মতো পরিবেশ ও সুযোগ সেখানে থাকে না। আর ক্লাস হয় সপ্তাহে ৩ দিন। ফলে সপ্তাহে তারা পাঠদান করে ৯০ মিনিট বা দেড় ঘন্টা।

অল্প কিছু ভালো কোচিং আছে যেগুলো প্রাই সবই সায়েন্সের। মানবিক সেক্টরটা হলো ধোঁকাবাজি ব্যবসার বড় সুবিধাস্থল; তারা ভালো শিক্ষক ও বেশি সময় দিয়ে না পড়িয়ে বরং একগাদা শিট ও গাইড ধরিয়ে দেয় ও প্রতিদিন মডেল টেস্ট নেয়। কারো কিছু জানার ঘাটতি থাকলে তা আর জানা বা শেখা সম্ভব হয় না। তাহলে কোচিংয়ের ক্রেডিট কোথায়? মডেল টেস্ট আর গাইড তো বাজার থোকেই কেনা যায়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে সায়েন্স এর জন্য উদ্ভাস ও রেটিনা ভালো, আর্টস এর জন্য ফোকাস ভালো। কমার্স এর বিষয়ে ভালো এমন এককভাবে কেউ নাই। UCC এর কিছুই ভালো নয়, তার মূলত পরিচয় কিনে থাকে।

পরিচয় কেনা তথা ধোঁকানীতি বিষয়টা ক্লিয়ার করি। এই নীতিতে অসৎ উপায় অবলম্বন করে কোচিংয়ের প্রচারণার জন্য ভালো ছাত্রদের পরিচয় কেনা হয়। আর এই পরিচয় কেনা হয় দুইভাবে।
প্রথমত, তারা ঢাকায় তাদের মেইন শাখায় নটরডেম ও অন্যান্য কলেজের কিছু ভালো ছাত্রদের নিয়ে কয়েকটি স্পেশাল ব্যাচ বানিয়ে তাদেরকে আবাসিক সুবিধাসহ আলাদাভাবে অনেক সময় নিয়ে পড়ায় আর এরা ০১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে সিরিয়ালে থেকে চান্স পেলে তাদের ছবি বিজ্ঞাপনে দেয়। এভাবে দেশজুড়ে ছাত্রদের মন ভুলিয়ে ভর্তি নেয় কিন্তু ভালো পড়ায় না।
দ্বিতীয়ত, ঢাবির বিভিন্ন ইউনিটে ১ম থেকে ২০ তম স্থান অধিকারীদেরকে টাকা দিয়ে তাদের পরিচয় কিনে নেওয়া যে সে তাদের কোচিংয়ে পড়েছিল। টাকা দিয়ে তাদের কাছে থেকে একটি ফরম পূরণ করে নেবে ও ছবি নেবে। আর এটাকে তারা প্রমাণ হিসেবে দেখাবে যে অমুক তাদের ছাত্র ছিল।

কিছু অসৎ কোচিং বন্ধ করে দেওয়া দরকার এবং সবার আগে UCC বাতিল করা দরকার, ফালতু কোচিং। ২০১১ সালে ইংলিশ এর ১২টা শিট পড়ে মাত্র ২টা প্রশ্ন কমন পেয়েছিলাম DU এর "খ" ইউনিটে। অথচ সেই বছর English for Today (For Classes XI-XII) বোর্ড বই এর পড়ার লাইন হতে হুবহু ১২টি প্রশ্ন কমন ছিল, কিন্তু আমি সেটা পড়ার সময় পাইনি; UCC এর ফালতু শিট পড়ে সময় নষ্ট করেছি। যারা আবেগের বশে নাম ধাম দেখে UCC তে ভর্তি হয় তারা রামধরা খায়।
সরকার বন্ধ না করলেও আপনারা পাবলিকলি এসব কোচিংকে বয়কট করুন।

এবার আসি কোচিং এর গাইড ও শিট এর বিষয়ে। তার আগে একটা গল্প বলি। অনেক সময় গ্রামে যখন গরুর ডাক্তার আনা হয় ডাক্তার দেখে যে রোগ তেমন গুরুতর কিছু নয়, একটা ট্যাবলেট তিনবার করে দুইদিন খাওয়ালেই রোগ সেরে যাবে, তখন সে যদি ট্যাবলেটের নাম কাগজে লিখে দিয়ে বলে এটা এনে খাওয়ান, তাহলে গরুর মানিক ভাববে ওটা কী এমন চিকিৎসা দিল, ফলে সে বেশি ভিজিট দিতে চাইবে না। তাই ডাক্তার কৌশল করে একটা ভিটামিন ইনজেকশন দেয়; তখন গরুম মালিক ভাবে ইনজেকশন দিয়েছে, টাকা তো বেশি দিতেই হবে।
কোচিং এর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটে থাকে। তারা যদি বলে লাইব্রেরি থেকে অমুক অমুক বই কিনে পড়েন, তাহলে তাদের নিজের আর থাকলো কী? এই পরামর্শের জন্য তো আপনি তাদেরকে বেশি টাকা দিতে চাইবেন না, তাই তারা ইয়া মোটা গাইড ও গাদা গাদা শিট তৈরি করে।

সত্য কথা হলো কোচিং তোমাকে কখনও নিরপেক্ষ পরামর্শ দিবে না, তারা তোমাকে যে পরামর্শ দিবে সেটা হলো তাদের ব্যবসায়ী পরামর্শ। তাই পরামর্শ নিতে চাইলে ভার্সিটি পড়ুয়া কোনো ভাইয়া/ আপুর কাছে পরামর্শ নাও; তারা তোমাকে নিরপেক্ষ ও বাস্তব পরামর্শ দিবে।

সত্যি হোক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন | 
University Admission Advice Bank Bangladesh

Admission Advice


Admission Advice | বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরামর্শ সেবা


An advising program for university admission!